ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা অনেক নেতাকর্মী দেখছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৩৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল। এই সম্মেলন ঘিরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। নানান আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে সম্মেলনটি হওয়ার কথা থাকলেও, এক প্রকার দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে হতে যাচ্ছে সম্মেলনটি। কেননা এটি জাতীয় নির্বাচনের বছর। এ সময় সম্মেলন দেওয়াটা রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করছেন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। তাদের মতে যারা বর্তমান কমিটিতে আছেন তারা চলে যাবেন আওয়ামী লীগের অন্য যেকোন সংগঠনে। ঠিক যেমনটি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন কদিন আগে।

তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে আরও জানা যায়, ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনের স্বেচ্ছাচারিতা ও উদাসীনতার কারণে অনেক কিছু নেতাকর্মী অসন্তুষ্ট হয়েছে। ফলে নির্বাচনের বছরে এসে এই সম্মেলনের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে নিদের্শ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের সাথে বর্তমান কমিটির বিরাজমান খারাপ সর্ম্পকও হতে পারে সম্মেলনের অন্যতম কারণ।

তাছাড়া সম্মেলন বাস্তবায়ন করার জন্য আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের নেতারা ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতে, সাইফুর রহমান সোহাগ ও এসএম জাকির হোসেনের ভুলত্রুটিগুলো প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন বলে জানান সাবেক নেতারা।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমাদের যেখানে নির্বাচন মুখী হওয়ার কথা ছিলো সেখানে সম্মেলন মুখী হওয়ার প্রশ্নের উত্তর এখনো খুঁজে পায়নি। আগার্মী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারানো কোনো কৌশল কিনা তা নিয়ে চিন্তিত এই নেতা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে হত্যা করার আগে নীল নকশা হিসেবে ছাত্রলীগকে দুইভাগে ভাগ করে দিয়েছিলেন ঘাতকরা। ছাত্রলীগ দুইভাগে ভাগ হওযার পর নানান ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের দূরে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। ঠিক একই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনের আগে সম্মেলন করার কারণে নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন অনেক নেতাকর্মী।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনকে বার বার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভি করেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা অনেক নেতাকর্মী দেখছে

আপডেট টাইম : ০৫:১২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল। এই সম্মেলন ঘিরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। নানান আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে সম্মেলনটি হওয়ার কথা থাকলেও, এক প্রকার দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে হতে যাচ্ছে সম্মেলনটি। কেননা এটি জাতীয় নির্বাচনের বছর। এ সময় সম্মেলন দেওয়াটা রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করছেন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। তাদের মতে যারা বর্তমান কমিটিতে আছেন তারা চলে যাবেন আওয়ামী লীগের অন্য যেকোন সংগঠনে। ঠিক যেমনটি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন কদিন আগে।

তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে আরও জানা যায়, ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনের স্বেচ্ছাচারিতা ও উদাসীনতার কারণে অনেক কিছু নেতাকর্মী অসন্তুষ্ট হয়েছে। ফলে নির্বাচনের বছরে এসে এই সম্মেলনের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে নিদের্শ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের সাথে বর্তমান কমিটির বিরাজমান খারাপ সর্ম্পকও হতে পারে সম্মেলনের অন্যতম কারণ।

তাছাড়া সম্মেলন বাস্তবায়ন করার জন্য আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের নেতারা ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতে, সাইফুর রহমান সোহাগ ও এসএম জাকির হোসেনের ভুলত্রুটিগুলো প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন বলে জানান সাবেক নেতারা।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমাদের যেখানে নির্বাচন মুখী হওয়ার কথা ছিলো সেখানে সম্মেলন মুখী হওয়ার প্রশ্নের উত্তর এখনো খুঁজে পায়নি। আগার্মী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারানো কোনো কৌশল কিনা তা নিয়ে চিন্তিত এই নেতা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে হত্যা করার আগে নীল নকশা হিসেবে ছাত্রলীগকে দুইভাগে ভাগ করে দিয়েছিলেন ঘাতকরা। ছাত্রলীগ দুইভাগে ভাগ হওযার পর নানান ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের দূরে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। ঠিক একই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনের আগে সম্মেলন করার কারণে নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন অনেক নেতাকর্মী।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনকে বার বার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভি করেননি।